লাইফস্টাইল ডেস্ক
বয়সের বেড়াজালে প্রেমকে আটকে রাখা যায় না। বয়সে বড় নারীকে ভালো লাগতেই পারে। বিয়ের বন্ধনে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা হতেই পারে। তবে এই পথে পা বাড়ানোর আগে কয়েকটি বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। না জানলে সংসার সুখের নাও হতে পারে। আসুন জেনে নিই এক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে।
মানিয়ে নিতে পারবেন?
বিয়ের আগের জীবন আর বিয়ের পরের জীবনের মধ্যে রয়েছে বিস্তর তফাত। তাই বিয়ে করার আগে অনেক বিষয়ে ভাবতেই হবে। আপনারা কি সত্যিই একে অপরের সঙ্গে আজীবন মানিয়ে চলতে পারবেন? এই প্রশ্নটা বারবার নিজেকে করুন। উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে বিয়ে সেরে নিন। আর উত্তর যদি না হয়, তাহলে এই পথে আর না এগোনোটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
মা-বাবাকে বোঝাতে পারবেন?
প্রতিবেশীদের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম। তবে নিজের মা-বাবার কাছে আপনি স্ত্রীর বয়সের কথাটা বলতে পারবেন তো? আর এই বিষয়টা তাদের সামনে খোলসা হওয়ার পর ঠিক কী ঘটনা ঘটবে তা ভেবে দেখেছেন কি? তাই জীবনে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে চাইলে আজই এই বিষয়টি নিয়ে একবার ভাবুন। তারপর না হয় বিয়ের পথে এগোনোর স্বপ্ন দেখবেন।
প্রেমিকার মনের ভেতরে ঢুঁ দেন
অনেক সময় নারী শুধুমাত্র সময় কাটানোর তাগিদেই সম্পর্কে আসেন। তাই বিয়ে নিয়ে মনে আঁকিবুঁকি কাটার আগে প্রেমিকার মনের কথা শোনার চেষ্টা করুন। বুঝতে চেষ্টা করুন, তিনি আদৌ এই সম্পর্ক নিয়ে সিরিয়াস নাকি তার মধ্যে বিয়ে নিয়ে কোনও আগ্রহই নেই? এই বিষয়টা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়ার পরই আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।
সমাজ কি ভাববে?
বিয়ে করার আগে সমাজিক দিকটাও মাথায় রাখতে হবে। তাই নিজেকে একবার প্রশ্ন করেই দেখুন, আপনি কি সত্যিই সমাজের সব কানাঘুঁষা এড়িয়ে জীবনের পথে এগিয়ে যেতে পারবেন? এই প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যা হয়, তাহলে অবশ্যই চার হাত এক করার কাজে লেগে পড়ুন। আর অন্তর থেকে নেতিবাচক উত্তর এলে, আপাতত একটু দাঁড়িয়ে যান। ফের কিছুদিন ভাবুন। তারপরই না হয় কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন।
পকেটের জোর রয়েছে?
বিয়ে করব বললেই তো হল না। বরং বিয়ে করার জন্য পকেটের জোর থাকাটা জরুরি। নইলে যে কিছুদিনের মধ্যেই ভালোবাসা উবে যাবে। তাই সবার প্রথমে নিজের অর্থনৈতিক দিকটা ভেবে দেখুন। যদি আপনার পকেটের জোর থাকে, তাহলে ধূমধাম করে বিয়ে সেরে নিন। আর অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো না হলে আপাতত কিছুদিন এই পথে পা না বাড়ানোই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।