সোনারগাঁওয়ে সাধন হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদন্ড ও একজনের যাবজ্জীবন
আরাফাত হোসেন সিফাত:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের আলোচিত সাধন মিয়া হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদন্ড ও এক জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন জেলা দায়রা জজ আদালত। সেই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্তকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ড এবং মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত দুইজনকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার (৩ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়া এই রায় ঘোষণা করেন। তবে রায় ঘোষণার সময়ে আসামীরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পূর্ব কান্দারগাঁও এলাকার একই এালাকার মো. আব্দুর রহমান সরকারের ছেলে মো. শামীম (৪৬) ও আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. আল আমিন (৩৫), এবং যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত হলেন- জজ মিয়ার ছেলে রাসেল (৩৪)
নারায়ণগঞ্জ জেলা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৪ সালের ১৭ জুন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার দুই জনের মৃত্যুদন্ড ও এক জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলাটি বেশ চাঞ্চল্যকর ছিলো। ভিকটিমের পরিবার এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছেন।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. শামীম হোসাইন বলেন, সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও ফয়জুল হকের ছেলে সাধনকে ২০১৪ সালের ১৬ জুন রাতে এলাকায় গলাকেটে বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। যা সোনারগাঁওসহ নারায়ণগঞ্জজুড়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে এই ঘটনার পরের দিন নিহত সাধনের মা জয়তুন নেছা বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
তিনি আরো বলেন, এই মামলায় নিহত সাধনের দুই বন্ধু শামীম ও আল আমিনকে গ্রেফতার করা হলে তাদের স্বীকারোক্তিতে এ হত্যাকান্ডে ৪ জনের নাম উঠে আসে। অন্যরা হলো রাসেল ও মোহাম্মদ আলী। পরবর্তীতে আসামি মোহাম্মদ আলীকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে। বর্তমানে এ মামলায় তিনজন আসামি ছিলো। এই মামলায় বিচার কার্যক্রম শেষে ১৯ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় প্রদান করেছেন।