সোনারগাঁয়ে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু পরিবারের অভিযোগ হত্যা
লাইভ সোনারগাঁও ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদী ধনপুর এলাকার জিয়াসমিন আক্তার নামের এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার ভোরে পারিবারিক কলহোর জের ধরে ওই গৃহবধু নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর সোমবার রাতে ওই গৃহবধুর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্ধান মেলে। এর আগে এ ঘটনায় সোমবার সকালে নিহতের ভাই সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গৃহবধুকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহতের ভাই আবু তাহের দাবি করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে লাশ নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহতের ভাই আবু তাহের জানান, উপজেলার বৈদ্যোরবাজার ইউনিয়নের হামছাদী ধনপুর এলাকার আমানউল্লাহর ছেলে মিজানুর রহমানের সাথে গাবতলী মাছি নগর গ্রামের জজ মিয়ার মেয়ে জিয়াসমিনের সাথে ৭ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে ৫ বছর বয়সী সাফা নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত রোববার রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী স্ত্রী মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে জিয়াসমিন নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্ধান পাওয়া যায়।
তিনি আরো জানান, তার বোনকে হত্যা করে স্বামী মিজানুর রহমান আত্মগোপনে চলে যায়। হত্যার পর তার বোনের বোরকার পকেটে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি রেখে দেয় তার স্বামী। ওই জাতীয় পরিচয় পত্রের সূত্র ধরেই তার লাশের সন্ধান পাওয়া যায়। হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করেন তিনি।
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) পঙ্কজ কান্তি সরকার বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক গৃহবধুর লাশের সন্ধান পাওয়া য়ায়। এখনো অফিসিয়ালি কোন কাগজপত্র আমরা পাইনি। শুনেছি বন্দর উপজেলা ইস্পাহানী এলাকায় ওই গৃহবধু বিষপান করে। পরে স্থানীয়রা তাকে ঢাকা মেডিকল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের হত্যার অভিযোগ থাকলে মামলা গ্রহন করে তদন্ত করা হবে।