তারইল বিরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গ্রেফতার
লাইভ সোনারগাঁও ডেস্ক:
নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় বালুর গদিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় ৯ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। মামলার হাজিরা না দেওয়ায় ১১ মে বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেওয়া হয়। তার প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার অভিযান চালিয়ে ১ নাম্বার আসামী তারইল বিরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আমিনুল মাস্টার কে গ্রেফতার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ।
ওয়ারেন্ট ভুক্ত বাকি আসামীরা হলেন, রূপগঞ্জে পশ্চিম কালাদী গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে আমিনুল(৪৫), একই এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে নাজমুল (৪২), শুক্কুর মুন্সির ফাইজুল(৪০),আব্দুল হকের ছেলে রিয়াজুল(৪২)
সাবেদ আলীর ছেলে আওলাদ(৪২), পূর্ব কালাদী গ্রামের আলফাজ উদ্দিনের ছেলে খোকন(৩৫), ত্রিশ কাহনিয়া গ্রামের মৃত এমদাদুল হক ভূইয়ার ছেলে সায়েম (৪৮), বিরাব ২নং ওয়ার্ডের আসাদ আলীর ছেলে জহিরুল ( ৪০)।
আদালতে দেওয়া অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে,রূপগঞ্জে বালুর গদির ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনার আহত বালু ব্যবসায়ীর ভাই গোলজার ডন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় গত১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি মামলা করেন।
বাদী গোলজার ডন জানান, ছোট ভাই নুর মোহাম্মদ কাঞ্চন পৌরসভার কালাদি এলাকার তাদের নিজস্ব সম্পত্তিতে একই এলাকার আমিনুল হক, নাজমুল হাসান, ফাইজুল, রিয়াজুল, সাইফুল, আওলাদ, বাবুল, খোকন, সায়েম, জহিরুল, সুমনদের সঙ্গে পার্টনারে বালুর গদি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। বালুর ব্যবসায় তাদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাদের ব্যবসায়িক পার্টনার থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর তারা নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি পিটিশন মামলা করেন। সেই মামলায় তার ভাই নুর মোহাম্মদের পক্ষে আদালত রায় দেন। এরপর থেকে তার ভাই ওখানে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তবে তারা মামলার রায়কে তোয়াক্কা না করে তার ভাইয়ের বালুর গদি দখল নিতে চেষ্টা চালিয়ে আসছে।এরই জের গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তার ভাইয়ের বাসায় প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমিনুল হক, নাজমুল হাসান, ফাইজুল, রিয়াজুল, সাইফুল, আওলাদ, বাবুল, খোকন, সায়েম, জহিরুল হামলা চালায়। এ সময় তার ভাই নুর মোহাম্মদকে ধারালো রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করতে থাকলে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী খাদিজা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে তার ডান হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এ ঘটনায় তাদের নামে একটি মামলা দায়ের করেছে তিনি।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন,আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলার হাজিরা ছিলো হাজিরা না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একজনকে আটক করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।