ফতুল্লায় চরম ভোগান্তিতে বিটিসিএলের গ্রহকরা
ফতুল্লা প্রতিনিধি
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড সম্প্রসারণের কাজ করার সময় মাটি কাটার বেকুর আঘাতে সরকারি ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিটিসিএলের ক্যাবল প্রায়ই কাটা পড়ছে।
কাটা পড়ার পর বিটিসিএল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালেও কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এসব ইন্টারনেট সংযোগ মেরামত করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ গ্রহতদের।
ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকার গ্রহক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জামাল মোল্লা জানান, তার বাসার বিটিসিএলের ইন্টারনেটের (০২২২৪৪২৭৩৭৭) লাইন গত তিন সপ্তাহ ধরে অকেজ হয়ে আছে।
এ ব্যাপারে তিনি ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকার দায়ীত্বে থাকা নারায়ণগঞ্জে বিটিসিএলের কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুর রহমানের কাছে বহুবার অভিযোগ করেও কোন ফল পাননি।
গ্রহক মো. জামাল মোল্লা দাবি করেন, তার কেনার কথা বলে মো. হাবিবুর রহমান তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। ঘুষের টাকা না পেয়ে গত ৩ সপ্তাহ ধরে তার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ আছে। অথচ প্রতি মাসে ১২০০ টাকা করে চার্জ নিচ্ছে বিটিসিএল।
এর আগে তিনি সস্তাপুর এলাকায় সেবাদানকারী একটি বেসরকারি ইন্টারনেট প্রোভাইডারের কাছ থেকে লাইন নিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের সেবার মান খুবই বাজে হওয়ায় এক বছর আগে সরকারি বিটিসিএলের ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করেন।
কিন্তু স্থানীয় ইন্টারনেট প্রভাইডারের যোগসাজশে একটি চক্র বিটিসিএলের ইন্টানেটের তার কেটে সেবা বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। এ ব্যাপারে বিটিসিএলের কর্মীরা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে।
বিটিসিএল কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বিরুদ্ধে অসদাচরণেরও অভিযোগ করেছেন ফতুল্লার এ গ্রহক। মো. জামাল মোল্লা বলেন, ৩ সপ্তাহ ধরে আমার ইন্টারনেট লাইনটি বিকল হয়ে পড়ে থাকলেও এ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেননি হাবিবুর রহমান, উল্টো তিনি বিটিসিএলের এ সরকারি সেবা বাদ দিয়ে বেসরকারি ইন্টারনেট লাইন নেওয়ার পরমর্শ দেন ওই গ্রহককে।
জামাল মোল্লা বলেন, বিটিসিএলের কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুর রহমানের এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও কোন ফল পাইনি।