সোনারগাঁও জাদুঘরে মাসব্যাপী লোকজ উৎসব শুরু
লাইভ সোনারগাঁও ২৪ ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পানামনগর এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন আয়োজিত মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব ২০২৩এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে ১২টার দিকে লোক ও কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এতে সভাপতিত্ব করেন, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। মাস ব্যাপী এ মেলা চলবে আগামী ২ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নেত্রকোণা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, নারায়ণগঞ্জ- আসানের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো. আবুল মনসুর, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুর হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ান-উল-ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার, সাবেক মুক্তিযুদ্ধা ডেপুডি কমান্ডার সেমান গনি।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম রেজাউল করিম।
এতে আলোচক হিসেবে উস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ঠ চিত্রশিল্পী এবং লোক ও কারুশিল্প অনুরাগী মোহাম্মদ আবুল হাসেম খান।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম রেজাউল ইসলাম জানান, এবারের মেলার আকর্ষণ গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম মাধ্যম ‘ভালবাসার তামা-কাঁসা- পিতল শিল্পের’ বিশেষ প্রদর্শনী। ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চল থেকে কারুশিল্পী মেলায় প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন। তাদের জন্য ৩২টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় এবার মোট ১০০টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হবে। এর মধ্যে ঝিনাইদহ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাঁড়ি, চট্টগ্রামের নকশিপাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁওয়ের হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশিকাঁথা, নকশি হাতপাখা, মুন্সিগঞ্জের শীতলপাটি, মানিকগঞ্জের তামা-কাঁসা পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারুপণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরা কোটা শিল্প, সোনারগাঁওয়ের পাটের কারুশিল্প, নাটোরের শোলার মুখোশ শিল্প, মুন্সিগঞ্জের পট চিত্র, ঢাকার কাগজের হস্তশিল্পসহ বেশ কিছু স্টল থাকছে মেলায়।
এছাড়াও লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান,লালন সংগীত, মাইজভান্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গাঁয়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি থাকবে।