লাইভ সোনারগাঁ
বিনিয়োগে আধিক মুনাফা প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকের প্রায় দেড় কোটি টাকা হতিয়ে নেয়ার মূলহোতা গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ এর ফাতেমা বেগম (৪৪) কে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ফাতেমা বেগম নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ভাগলপুর গ্রামের করিম মিয়ার স্ত্রী। পলাতক আসামীরা হলো ভাগলপুর গ্রামের আবুল কাশেম এর ছেলে করিম মিয়া (৫৫), করিম মিয়ার ছেলে মোঃ কাউছার (৩০) ।
ভুক্তভোগী গ্রাহক ভাগলপুর গ্রামের মোঃ মিলন মিয়া এর ছেলে মোঃ শাহজাহান গত মঙ্গলবার বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করে।
পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ফাতেমা বেগম কে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে পাঠায়।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালত প্রতারক ফাতেমা বেগম এর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।
ভুক্তভোগী মোঃ শাহজাহান জানান, এই প্রতারক চক্র আমাকে হত্যার হুমিক এবং নারী নির্যাতনে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাবে বলেছে আমার কাছে রেকর্ড আছে।
ভুক্তভোগী কয়েকজন গ্রাহক জানান, আমাদের জমানো টাকা ফেরত দিবে বেল জামা রিসিট এবং জমা বই প্রতারক ফাতেমা বেগম, করিম মিয়ার, মোঃ কাউছার হাতিয়ে নেয়। আমরা টাকা চাইলে এই প্রতারক চক্র মিথ্যা মামলার হুমকি দেয়া।
এ পর্যন্ত ২০/২৫ জন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতারণা করে এই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ভাগলপুর গ্রামের গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ নামের রক প্রতিষ্ঠান। সমবায় অধিদপ্তরের অনুমোদিত ও নিয়ন্ত্রিত দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক ব্যবসায়িক প্রকল্পের বিনিয়োগের প্রলোভন দেখাতো লোকজনকে।
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রথম দিকে মুনাফা দিত প্রতিষ্ঠানটি। প্রতি মাসে মুনাফা পাওয়ায় অনেক প্রবাসী তাদের আয় করা টাকা, অনেকে জমি বিক্রির টাকা, এমনকি অন্যান্য ব্যাংকে রাখা টাকাও উত্তোলন করে বিনিয়োগ করেন এখানে।
পরে করোনা পরিস্থিতির অজুহাতে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকার ঘোষণার নোটিশ টানিয়ে সমিতির পরিচালনা পরিষদে থাকা লোকজন উধাও হয়ে যায় ।
যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লেনদেন করার সময় সোনারগাঁবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুব আলম।