spot_img
শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪
spot_img

সোনারগাঁওয়ে কলেজ ছাত্রকে হত্যা, গ্রেপ্তার -৫

spot_img

লাইভ সোনারগাঁও ২৪ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে রক্তাক্ত জখম হওয়ার পর ৩৭ দিন পাঞ্জা লড়ে অবেশেষে মৃত্যুর কাছে পরাজয় বরণ করলো সোনারগাঁও সরকারি কলেজের ছাত্র সোহাগ (২০)।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত সোহাগ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে এবং সোনারগাঁও সরকারি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ইব্রাহীম, মোবারক, পাভেল, শহিদুল্লাহ ও আলম চাঁন।

স্থানীয়রা জানায়, গত ৮ মার্চ বুধবার পবিত্র শবেবরাতে আঁতশবাজি ও পটকা ফুঁটানোতে বাঁধা দেওয়ায় তাতুয়াকান্দি গ্রামের মৃত আলম চাঁনের ছেলে স্থানীয় সন্ত্রাসী মেহেদী ও তার সহযোগীদের সাথে দন্ধ হয়। এরই রেশ ধরে মেহেদী ও একই এলাকার মৃত আব্দুর রউফ এর ছেলে মেহেদীর সহযোগী সালাউদ্দিন, খোকা মিয়ার ছেলে হাসান, আমানউল্লাহর ছেলে পাভেল, মৃত মফিজউদ্দিনের ছেলে শহিদুল্লাহ ও মোবারক, মহব্বত আলীর ছেলে আলম চাঁন, জহিরুলের ছেলে আনিস, মৃত নুর মোহাম্মদ ওরফে নুরার ছেলে রফিকসহ ১২/১৫ জন মিলে সোহাগকে লোহার রড, হকিস্টিক ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

এসময় সোহাগের ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী মেহেদী ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা সোহাগকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সোহাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করে।

এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হলে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ সিলবার ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ২৩ মার্চ চিকিৎসকদের পরামর্শে সোহাগকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা চলছিল। বাড়িতে চিকিৎসাধীন পুনরায় গত ১৪ এপ্রিল শুক্রবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবারো সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  নিয়ে ভর্তি করলে তার মৃত্যু হয়।

সোনারগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) আহসান উল্লাহ জানান, এ বিষয়ে নিহত সোহাগের দাদা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে শনিবার ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। লাশের ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

spot_img

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সাম্প্রতিক প্রবন্ধসমূহ

spot_img
spot_img